এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা মেঙ্গারিং ইন্সট্রুমেন্ট ক্যালিব্রেট করে এয়ার কন্ডিশনারের ইলেকট্রিক ও ইলেক্ট্রনিক্স কম্পোনেন্টের প্রোপার্টিজ পরিমাপ, সলিনয়েড ভাত ও ইলেকটিক কন্ড্যাক্টর সম্পর্কে জানব ।
স্বয়ংক্রিয়ভাবে (Automatic) প্রবাহীর প্রবাহ বন্ধ ও চালু করার জন্য বিদ্যুৎ চালিত যন্ত্রটিকে সলিনয়েড ভালভ (SV) বলে।
সলিনয়েড ভালভের প্রয়োজনীয়তা ও কাজ-
১। লিকুইড ফ্লাড ব্যাঙ্ক (Liquid Flood Back);
২। লিংকিং থ্রো (Linking Trough);
৩। ইন্ডিভিজুয়্যাল ইভাপোরেশন (Individual Evaporation);
৪। ক্যাপাসিটি (Capacity);
৫। টেম্পারেচার কন্ট্রোল (Temperature Control);
৬। প্রিভেন্ট ফ্রস্টিং (Prevent Frosting);
৭। প্রবাহী পথের দিক পরিবর্তন (Changing Way of Fluid):
৮। অতিরিক্ত তরল হিমায়ক প্রবাহে ৰাধা (Protect Execive Liquid Refrigerant Flow) ইত্যাদি।
ডাইরেক্ট অপারেটেড সলিনয়েড ভাল্ভের কার্যপ্রনালী
টেম্পারেচার কার্ট আউট বা থার্মোস্ট্যাট বা অদ্য কোন স্বয়ংক্রিয় নিয়ন্ত্রক দিয়ে লিনয়েড করেলে বিদ্যুৎ প্রাপ্ত হয়ে এনার্জাইজড হয়। অর্থাৎ কয়েলে চুম্বকত্বের সৃষ্টি হয়। এই শক্তির প্রভাবে নিডল ও প্লাঞ্চার শিট হতে স্থানান্তর হয়।
এতে সরাসরি যেন পোর্ট খুলে যায় এবং প্রবাহ শুরু হয়। পরিমাণ মতো কাজ (শীতল বা গরম) হবার পর নিয়ন্ত্রক (Controller) কর্তৃক সলিনয়েড (SV) করেলে বিদ্যুৎ বন্ধ হওয়াতে চুম্বকত্ব নষ্ট হয়। ফলে নিডল পূর্বের স্থলে (শীটে) ফিরে যায় বা রিটার্ন করে যার কারণে প্রবাহ বন্ধ হয়। এভাবে প্রবাহ চালু ও বন্ধ হয় প্রয়োজনীয় মাত্রার উষ্ণতা নিয়ন্ত্রিত হয়।
সলিনয়েড ভালভ স্থাপনের জন্য কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করা প্রয়োজন হয়-
১। উদ্দেশ্য ২। ব্যবহার ক্ষেত্র ও ৩। সতর্কতা ইত্যাদি।
১। উদ্দেশ্য
যে উদ্দেশ্যে বা কাজের জন্য সলিনয়েড অকৃত ব্যবহার করতে হবে তারপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় সলিনয়েড ভালভ (SV) নির্বাচন ও সংগ্রহ করতে হবে।
২। ব্যবহার
ক্ষেত্র কোথায় ব্যবহার করতে হবে অর্থাৎ কোনস্থলে এটি স্থাপন করতে হবে, সেই স্থলের কার্যোপযোগী সলিনয়েড ভালভ সংগ্রহ পূর্বক এটি স্থাপন করতে হবে।
৩। সতর্কতা
সলিনয়েড ভাল্ভ স্থাপন বা ব্যবহারের জন্য অনুসরণযোগ্য সতর্কতা-
১। সলিনয়েড ভাল্ভ এর গায়ে নির্দেশিত তীর চিহ্ন অনুযায়ী স্থাপন করা।
২ সলিনয়েড কয়েলের নির্দিষ্ট ভোল্টেজ অনুযায়ী ব্যবহার করা।
৩। 520°C এর উর্দ্ধে তাপমাত্রায় স্থাপন না করা।
৪। সার্বক্ষণিক আর্দ্রতাযুক্ত স্থলে স্থাপন না করা ।
আর এসি সিস্টেমে সলিনয়েড ভাল্ভ খুবই প্রয়োজনীয় একটা নিয়ন্ত্রক। বড় ও মাঝারি ধরনের প্রায় সকল সিস্টেমে হিমায়ক, পানি, ব্রাইন, চিল্ড ওয়াটার, গ্যাস, নিয়ন্ত্রিত বাতাস ইত্যাদির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের জন্য সর্লিনয়েড ভাল্ভ ব্যবহার হয়ে থাকে-
উষ্ণ কাজের জন্য সনিয়েড ভাল্ভের ক্ষেত্র সমূহ হল-
কন্টাক্টর (Contactor) এক প্রকার নিরাপত্তা মূলক বৈদ্যুতিক কন্ট্রোলার। বেশি লোভের ও ভোল্টেজে চালিত মেশিনাটি পরিচালনার জন্য ইলেকট্রিক কন্ট্রাক্টরের বিকল্প কোন ব্যবস্থা নেই। যে ডিভাইস লোডের (Load) টার্মিনালের সাথে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের কন্টাক্ট পয়েন্টের অন ও অফ (On-Off) প্রজা নিরাপদে সম্পাদন করে তাকে কন্টাক্টর (Contactor) বলে ।
বিভিন্ন প্রকার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা দিয়ে হিমায়ন ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্রপাতি পরিচালিত হয়। যেমন- এসি, ডিসি, সিঙ্গেল ফেজ, থ্রি ফেজ ইত্যাদি।
বিদ্যুৎ ব্যবস্থার বিভিন্নতা, পরিচালনা, পোলের সংখ্যা ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে কন্টাক্টর এর প্রকারভেদ-
১। গোলের দিক থেকে কন্টাক্টর চার প্রকার-
ক) দুই গোল কন্ট্রাক্টর
খ) তিন গোল কন্টাক্টর
গ) চার গোল কন্টাক্টর
ঘ) পাঁচ গোল কন্টাক্টর
২। পরিচালনার দিক থেকে কন্টাক্টর দু'প্রকার, যথা-
ক) চালিত ( Manual Operated) কন্টাক্টর
খ) স্বয়ংক্রিয় চালিত ( Automatic Operated) কন্টাক্টর।
৩। ফেজের উপর ভিত্তি করে কন্টাক্টর দু' প্রকার, যথা-
ক) সিঙ্গেল ফেজে ব্যবহৃত কন্টাক্টর
খ) ব্রিকেজে ব্যবহৃত কন্ট্রাক্টর।
কন্টাক্টরের কার্যপদ্ধতি বলতে এর সকল অংশ সমুহের কার্যপদ্ধতিকে বোঝায়। কন্টাক্টরের অংশসমুহ-
১। মেক কন্টাক্ট পয়েন্ট
২। ব্রেক কন্টাক্ট পয়েন্ট
৩। মেইন কন্টার পয়েন্ট
৪। ম্যাগনেটিক কয়েল
৫। কয়েল টার্মিন্যাল
৬। আয়রন কোর
৭। কন্টাক্ট ব্রেড
৮। ফ্রেম ইত্যাদি।
কন্টাক্টরে NO (Normally Open) কন্ট্যাক্ট ও NC (Normally Close) কন্টাক্ট থাকে। এ অতিরিক্ত কন্টাক্ট গুলোকে সাহায্যকারী কন্টাক্ট বলে। সার্কিটের স্টার্ট সুইচ অন করলে কন্টাক্টরের ম্যাগনেটিক করেলে বিদ্যুতায়িত হয়ে মোটরের সংযোগ দেয়। অতপর স্টপ সুইচ চাপ দিলে কন্টাক্টর কয়েলে বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ হয়। যার দরুন ম্যাগনেটিক কয়েল চৌম্বক শক্তি হারায় এবং স্প্রিং আর্মেচার পূর্বের জায়গায় ফিরে আসে। ফলে বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ হয়ে মোটর অফ হয়। এভাবে পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে কন্টাক্টর মোটরকে চালু ও বন্ধ করে।
ইন্ডাক্টিভ (Inductive) লোড হল- সকল প্রকার বৈদ্যুতিক মোটর। সুতরাং বৈদ্যুতিক মোটর ব্যবহৃত সকল ক্ষেত্রেই কন্টাক্টর (Contractor) ব্যবহার করা হয়। তাই কন্টাক্টরের ব্যবহারের ক্ষেত্রসমূহ-
১। আইস প্লান্ট
২। কোল্ড স্টোরেজ
৩। এয়ার কন্ডিশনিং প্লান্ট (AC Plant)
৪ । ফ্রিজিং প্লান্ট
৫। কলকারখানা
৬। পাম্প (Pump)
৭। রাইস মিল
৮। আটা ও ময়দা মিল
৯। 'স' মিল ইত্যাদি